সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে সিঙ্গুরে টাটা কারখানাকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি মুকুল রায়ের

2nd January 2021 7:49 pm হুগলী
সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে সিঙ্গুরে টাটা কারখানাকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি মুকুল রায়ের


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : বিধানসভা নির্বাচনের আগে সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে টাটা কারখানা নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় নেতা মুকুল রায় । ক্ষমতায় এসে সিঙ্গুরবাসীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করে সিঙ্গুরে শিল্প প্রতিষ্ঠা করবো। শনিবার সিঙ্গুর রেল গেট সংলগ্ন ময়দানে বিজেপির জনসভায় এ কথা বলেন মুকুল রায়। সভায় উপস্থিত ছিলেন হুগলী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, হুগলী জেলা বিজেপি সাংগঠনিক সভাপতি গৌতম চ্যাটার্জী, জেলা ও রাজ্য নেত্বত।তৃণমূলের সাথে সিঙ্গুরে যে মাটি থেকে টাটা কে বিদায় দিয়েছিলাম সেটা ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। শিল্পকে তাড়িয়ে বাংলাকে অন্ধকার করে দিয়েছে ।  তাই সিঙ্গুরে এলে নিজের পাপ বোধহয়। রাজ্য শিল্প প্রসঙ্গ এলে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র কে জিজ্ঞেসা করতে ইচ্ছা করে শিল্প সম্মেলন করে যে টাকা খরচ করেছেনে রাজ্যে কতটা শিল্প করেছেন? লিখে রেখে দিন সিঙ্গুরে মাটিতে যে বাজনা দেখলাম ২০২১ এ  তৃণমূলের বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেছে। সিঙ্গুর দিয়ে শুরু করে ছিলাম তা শেষ করবো বিজেপিকে ক্ষমতায় এনে। সিঙ্গুরের মানুষকে যে ভাঁওতা দেওয়া হয়েছে তা সিঙ্গুরের মানুষকে ক্ষমা করবে না। সিঙ্গুরের মানুষ অপেক্ষা করে আছে, নরেন্দ্র মোদির পতাকা কবে উঠবে নব্বান্নে। সিঙ্গুরে এ্যগ্রো ইন্ড্রাষ্টি নিয়ে মুখ্যমন্রী ভুল পথে চালোনা করছে। পারলে সিঙ্গুরে টাটার কারখানা করে  দিন। সারদা নারদা প্রসঙ্গে বলেন, তদন্ত চলছে বিজেপি এর শেষ দেখে ছাড়বে,কেউ ছাড় পাবেনা। পাশাপাশি হুগলী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় স্বাস্থ‍্যসাথী কার্ড নিয়ে বলেন এই সব ঢপের কার্ড তৈরী হচ্ছে । এই কার্ডে রাজ্যে মানুষ কোনো সুবিধে পাবে না। আগামী দিনে বিজেপি ক্ষমতায় এসে আয়ুস্মান ভারতে কার্ডে চিকিৎসার ফল পাবে। শিল্প নিয়ে সিঙ্গুরে মানুষের সাথে বঞ্চনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সিঙ্গুরে এ্যগ্রোপার্ক নিয়ে কটাক্ষ করে আরো বলেন সারা বাংলা জুড়ে  এ্যগ্রোপার্ক তৈরী করলেও আর ক্ষমতায় আসবে না। তৃণমূলের ভাঙন শুরু হয়েছে,উইকেট পড়ছে। সরকার আগেই চলে গেছে, শুধুমাত্র সংবিধান মেনে চলছে এই দল। তৃণমূলের জোড়াফুলের পিসি ও ভাইপো রয়েছে দুইটি ফুল, আগামী দিনে আর কেউ থাকবে না। মঞ্চে থেকে নাম ধরে ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জী নাম করে কটাক্ষ করেছেন। ডায়মন্ডহারবার কে মিনি পাকিস্তান বানিয়ে দিয়েছেন। দলে তোলাবাজ,গুরু চোর, কয়লা চোর রয়েছে । সিবিআই তদন্ত চলছে আগামী দিন সকলকে শাস্তি দেওয়া হবে। সিবিআই কালীঘাট থেকে টেনে বার করে আনবে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।